জনাব মইন, বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। জনাব মইন বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থা সাথে জড়িত যার মধ্যে রয়েছে, এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা, ডিপিএস-এসটিএস স্কুলস এবং ডাব্লুউএসি লজিস্টিকস লিমিটেড। এছাড়াও তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউস লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ এবং দেশের অন্যতম মার্চেন্ট ব্যাংক লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের সন্মানিত চেয়ারম্যান।
একাডেমিক/পেশাগত যোগ্যতা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে বি.এ.(অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
বর্তমান ডিরেক্টরশিপ সমূহ : রয়্যাল পার্ক রেসিডেন্স হোটেল
জনাবা কুন্দনমাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে বি.এ.(অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন এবং দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি রয়্যাল পার্ক লিমিটেডের পরিচালক। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও জড়িত। তিনি স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব জনাব বি ডব্লিউ কুন্দনমালের স্ত্রী।
একাডেমিক/পেশাগত যোগ্যতা : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে ফাইন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী (এমবিএ) অর্জন করেছেন।
বর্তমান ডিরেক্টরশিপ সমূহ : প্রযোজ্য নয়
জনাব মোঃ মনজুর মফিজ ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ সাল থেকে ওয়ান ব্যাংক পিএলসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০১৯ সালের ১ জুলাই তারিখে এই ব্যাংকে সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। জনাব মফিজ একজন ৩১ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রগতিশীল উচ্চপদস্থ পেশাদার ব্যাংকার। তিনি ১৯৯৩ সালে সোনালী ব্যাংক পিএলসি'তে তার ব্যাংকিং জীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে এবি ব্যাংক পিএলসি, দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি'তেও দায়িত্ব পালন করেন। পেশা জীবনের শুরুতে, ১৯৯২ সালে তিনি পদ্মা আর্কিটেক্ট এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে তার দীর্ঘ কর্মজীবনে কর্পোরেট ব্যাংকিং, ঋণ ঝুঁকি সংক্রান্ত পর্যালোচনা, কৌশলগত পরিকল্পনা, ব্যবসা উন্নয়ন, সহ দল গঠন ও নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও কিছুকাল দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দেশে ও বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণ কোর্স, কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি লেখাপড়া এবং ভ্রমণ উপভোগ করেন।
বোর্ড কমিটি সমূহ : বোর্ড নির্বাহী কমিটির সদস্য, বোর্ড অডিট কমিটির সদস্য
একাডেমিক/পেশাগত যোগ্যতা : ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
বর্তমান ডিরেক্টরশিপ সমূহ : লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিচালক।
জনাব আলম, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি আর্জন করেছেন । তিনি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে থেকে কর্পোরেট, ট্রেজারী এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং সহ ২৫ বছর ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা সহ তার ৩১ বছরেরও বেশী বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন । ১৯৮৩ সালে তিনি অগ্রণী ব্যাংকের একজন অফিসার হিসেবে তিনি তার পেশা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে দেশে ও বিদেশের আইএফআইসি ব্যাংক এবং ক্রেডিট এন্ড কমার্শিয়াল ইন্টারন্যাশনাল (প্রাঃ) ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রইষ্ঠানে কাজ করেছেন । ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এ যোগদান করার পূর্বে তিনি ইস্টার্ণ ব্যাংক এর কর্পোরেট ব্যাংকিং, ট্রেজারী ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং এর প্রধান এবং সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন । তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের ৮ তারিখ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত ওয়ান ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।
জনাব আহমদ আহসানুল মুনীর, একজন অভিজ্ঞ ব্যাংকার। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন ব্যাংকে (মাশরেক ব্যাংক, ইউনিয়ন ন্যাশনাল ব্যাংক, আবুধাবি কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং আল হিলাল ব্যাংক) এবং বাংলাদেশের আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড এবং ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন পদে কর্মরত এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিষদে ৩৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।
জনাব মুনীর, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ক্রেডিট অডিট, অপারেশনাল অডিট এবং ফিনান্সিয়াল কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দক্ষ। তিনি বিভিন্ন বৃহৎ ব্যবসায়িক খাতে ক্রেডিট পোর্টফোলিও এর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি, রিয়েল এস্টেট নির্মাণ, ট্রেড ফাইন্যান্স, হসপিটালিটি, শিক্ষা খাত ইত্যাদি পরিচালনা করেন। তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণ নীতির উন্নয়ন/সংশোধন/প্রক্রিয়া/কর্মসূচীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি তার কর্মজীবনে প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে জড়িত ছিলেন। ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এর উপর বিভিন্ন হাউজ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে অবসর গ্রহণের পর, জনাব মুনির সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্পোরেট সেক্টরে পরামর্শ সেবা প্রদান করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর আইবিএ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
একাডেমিক/পেশাগত যোগ্যতা সমূহ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বর্তমান ডিরেক্টরশিপ সমূহ: প্রযোজ্য নয়
হুমায়রা আজম লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে যোগদান করেন। আর্থিক খাতে হুমায়রা আজম গত ৩৪ বছর ধরে ব্যবসায়িক পুনর্গঠন ও পরিবর্ধনে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অসামান্য নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে আসছেন। তিনি ছিলেন ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধান নির্বাহী। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো ছিলোঃ ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। তিনি পেশাগত জীবনে কর্পোরেট ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক ব্যাংকিং, বৈদেশিক বাণিজ্য, ট্রেজারি, রিটেইল ব্যাংকিং, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, শাখা ব্যাংকিং, ইসলামিক ব্যাংকিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মূলধন ব্যবস্থাপনা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন।
হুমায়রা আজম ১৯৯০ সালে ‘এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক’-এ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তাঁর গৌরবময় কর্মজীবন শুরু করেন, এবং পরবর্তীতে দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে তিনি বিভিন্ন নেতৃত্বস্থানীয় দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি তিনটি বহুজাতিক ব্যাংক, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং দুটি স্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর মেয়াদকালে, এইচএসবিসি বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-তে তিনি শক্তিশালী কাঠামো গড়ে তোলা থেকে শুরু করে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং সফল কৌশল বাস্তবায়নে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
সর্বশেষ, হুমায়রা আজম ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তার নেতৃত্বে ব্যাংকটি অপারেটিং মুনাফা, আমানত এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে ট্রাস্ট ব্যাংক একাধিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে, যার মধ্যে ভিসার প্রিন্সিপাল সদস্য হওয়া, মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা এবং ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগে স্বীকৃতি পাওয়া অন্যতম। তাঁর অসামান্য নেতৃত্বে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ২০২২ এবং ২০২৩ সালে পরপর দুবার "সাসটেইনেবিলিটি রেটিং"-এ সেরা সাতটি ব্যাংকের মধ্যে নিজেদের স্থান করে নেয়।
হুমায়রা আজম তার দৃঢ় নেতৃত্বগুণ, বিশ্লেষণী দক্ষতা এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অক্সফোর্ড এর একটি এডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রামে তাকে বৈশ্বিক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়াও, তিনি ইনসিড থেকে এডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন। তিনি ক্যামব্রিজ আইএফএ কর্তৃক WOMANi 2021 এবং 2022 প্রতিবেদনে ইসলামিক ব্যবসা ও অর্থায়নে প্রভাবশালী সাতজন নারীর মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে জেসিআই প্রদত্ত "উইমেন অফ ইনস্পিরেশন অ্যাওয়ার্ড" ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের "টপ উইমেন ব্যাংকার্স অ্যাওয়ার্ড"। আর্থিক খাতে শীর্ষস্থানীয় অনেককে বিভিন্ন সময় তিনি পরামর্শ দেন। তাঁর কর্মজীবন ছিল তিনটি দর্শনে পরিচালিত। যেমনঃ কঠোর পরিশ্রম, সত্য কথা বলার সাহস এবং সৎ, মানবিক ও নম্রতার সাথে গ্রাহকদের সেবা করার প্রতিশ্রুতি।
হুমায়রা আজম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অসংখ্য পেশাদার প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন কর্মসূচি, কর্মশালা এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।