করোনা ভাইরাস
(কোভিড- ১৯)

করোনা হেল্পলাইন

  • ৩৩৩ ন্যাশনাল কল সেন্টার
  • ১৬২৬৩ স্বাস্থ্য বাতায়ন
  • ১০৬৫৫ আইইডিসিআর
  • ০৯৬৬৬৭৭৭২২২ কোভিড-১৯ টেলিহেলথ
  • ১০৯ ন্যাশনাল হেল্পলাইন
  • সকল কল সেন্টার

কোভিড-১৯ করোনা ভ্যাকসিন

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রোধে ইতোমধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শতাধিক হাসপাতালে একযোগে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত নাগরিকসহ ৪০ বছরের বেশী বয়সী সকলে করোনা টিকা নিতে নিবন্ধন করুন এই ওয়েবসাইটে :

surokkha.gov.bd

কোভিড-১৯ করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রক্রিয়া

  • corona

    প্রথমে surokkha.gov.bd এই পোর্টালের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও সঠিক মোবাইল নম্বর যাচাইপূর্বক অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

  • corona

    অনলাইনে নিবন্ধন পরবর্তী তথ্য যাচাইপূর্বক পর্যায়ক্রমে টিকা প্রদানের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম উল্লেখপূর্বক মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাবেন।

  • corona

    মুঠোফোনে খুদেবার্তা প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিকাকার্ড জাতীয় পরিচয়পত্র ও সম্মতিপত্রসহ নির্দিষ্ট তারিখে টিকাদান কেন্দ্রে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করবেন।

করোনা ভাইরাসের টিকা এবং এই সম্পর্কে যা আমাদের জানা উচিত

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে চালু হয়েছে করোনার ভ্যাক্সিন বিতরণ কর্মসূচি। এই ভ্যাক্সিন মানুষ কে কতটা সুরক্ষিত রাখবে তা নিয়ে আছে নানান রকমের বিতর্ক। তবে এই ভ্যাক্সিন কিভাবে আমাদের ভাইরাসের মোকাবেলায় সহযোগিতা করতে পারে তা আমরা জেনে নিতে পারিঃ

  • এখন পর্যন্ত যে কয়টি প্রাণঘাতী রোগের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়েছে, করোনার ভ্যাক্সিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কোনোভাবেই তার থেকে বেশী না।
  • করোনা ভ্যাক্সিনও অন্যান্য ভ্যাক্সিনের মত গবেষণার সবগুলো এবং সকল ধরনের বৈজ্ঞানিক যাচাই বাছাই পার করে অনুমোদন পেয়েছে।
  • ভ্যাক্সিন নেয়ার মাধ্যমে আপনি নিজে করোনার থেকে সুরক্ষা পাওয়ার সাথে সাথে অন্যের মাঝে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ঝুকিও অনেকাংশেই কম হয়ে যায়।
  • যদি অধিকাংশ মানুষ ভ্যাক্সিন গ্রহন করে তাহলে ভাইরাসের প্রকোপ কমতে থাকবে। যতক্ষন পর্যন্ত মানুষ ভ্যাক্সিনেশনের বাইরে থাকবে , ভাইরাসের প্রকোপ ততই বাড়তে থাকবে।
  • করোনা ভাইরাস থেকে একবার মুক্তি পাওয়ার পরই আপনার পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ নয়। তবে এক্ষেত্রে ভ্যাক্সিনই পারে আপনাকে পরবর্তীতে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে।

যারা টিকা নিতে পারবেন

  • নিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ব্যক্তি
  • নিয়ন্ত্রিত শ্বাসকষ্ট আছে এমন ব্যক্তি/ শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন না এমন ব্যক্তি
  • নিয়মিত হার্টের ঔষধ গ্রহন করছেন কেউ
  • হোমিওপ্যাথি এবং কবিরাজি ঔষধ খাচ্ছেন এমন রোগী
  • প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী
  • হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফারি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারসহ স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত ব্যক্তিবর্গ

যারা একেবারেই টিকা নেবেন না

  • যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে
  • সন্তানসম্ভবা নারী
  • সন্তানকে স্তন্যদানকারী কোনো মা
  • ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রনের বাইরে আছে এমন কোনো রোগী
  • ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ইনজেকশন নেয়া কোনো ব্যক্তি
  • তীব্র জ্বরাক্রান্ত কোনো ব্যক্তি
  • বিগত এক মাসের মধ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এমন কেউ

ভ্যাক্সিন নেয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি কি হতে পারে

  • সামান্য জ্বর বা জ্বর জ্বর ভাব হতে পারে
  • মাথা ব্যাথা হতে পারে
  • গায়ে ব্যাথা হতে পারে
  • বমি বমি ভাব হতে পারে

আসুন আমরা সকলে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলমান টিকাদান কর্মসূচির আওতাভুক্ত হই, নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রথম ডোজ এবং প্রথম ডোজ গ্রহন করার পর নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে ২য় ডোজ টিকা গ্রহন করি।


টিকা বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসার জন্য :

এখানে ক্লিক করুন

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনা

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনাগুলো হচ্ছে—

  1. ১) করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
  2. ২) লুকোচুরির দরকার নেই, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
  3. ৩) ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) সাধারণভাবে সবার পরার দরকার নেই। চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট সবার জন্য পিপিই নিশ্চিত করতে হবে। এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্কসহ সব চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত রাখা এবং বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
  4. ৪) কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় নিয়োজিত সব চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অ্যাম্বুলেন্সচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
  5. ৫) যাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনে বা আইসোলেশনে আছেন, তাঁদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে।
  6. ৬) নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
  7. ৭) নদীবেষ্টিত জেলাগুলোতে নৌ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।
  8. ৮) অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।
  9. ৯) পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। সারা দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
  10. ১০) আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। জাতীয় এ দুর্যোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সব সরকারি কর্মকর্তা যথাযথ ও সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
  11. ১১) ত্রাণ কাজে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।
  12. ১২) দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক যেন অভুক্ত না থাকেন। তাঁদের সাহায্য করতে হবে। খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত তালিকা তৈরি করতে হবে।
  13. ১৩) সোশ্যাল সেফটিনেট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
  14. ১৪) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে।
  15. ১৫) খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। কোনো জমি যেন পতিত না থাকে।
  16. ১৬) সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে, যাতে বাজার চালু থাকে।
  17. ১৭) সাধারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  18. ১৮) জনস্বার্থে বাংলা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে যাতে জনসমাগম না হয়। ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।
  19. ১৯) স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সমাজের সব স্তরের জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসন সবাইকে নিয়ে কাজ করবে।
  20. ২০) সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
  21. ২১) জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবেন।
  22. ২২) সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন: কৃষিশ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা/ভ্যানচালক, পরিবহনশ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, তালাক/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখাসহ ত্রাণ সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
  23. ২৩) প্রবীণ নাগরিক ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  24. ২৪) দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সব সরকারি কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
  25. ২৫) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও নিয়মিত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
  26. ২৬) আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করবেন না। খাদ্যশস্যসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
  27. ২৭) কৃষকেরা নিয়মিত চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
  28. ২৮) সব শিল্পমালিক, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিপর্যায়ে নিজ নিজ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর পরিষ্কার রাখবেন।
  29. ২৯) শিল্পমালিকেরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখবেন।
  30. ৩০) গণমাধ্যমের কর্মীরা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গুজব ও অসত্য তথ্য যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
  31. ৩১) গুজব রটানো বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। গুজবে কান দেবেন না এবং গুজবে বিচলিত হবেন না।

করোনা ভাইরাস

নিজে জানুন, অন্যকে জানান
  • হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন
  • বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন
  • সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন
  • ভাইরাস এ আক্রান্তদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
  • দুধ ফুটিয়ে এবং মাংস ভালোভাবে রান্না করে খান
  • প্রাণীদের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন

করোনা উপসর্গ

  • corona

    প্রথম থেকে তৃতীয় দিন

    • জ্বর
    • হালকা গলা ব্যাথা
  • corona

    চতুর্থ দিন

    • গলা ব্যাথা
    • গলা ভাঙা
    • ক্ষুধাহীনতা
    • মাথা যন্ত্রনা
    • ডায়রিয়া
  • corona

    পঞ্চম দিন

    • ক্লান্তি অনুভব
    • মাংসপেশিতে ব্যাথা
    • শুকনা কাশি
  • corona

    ষষ্ঠ দিন

    • ১০০ ডিগ্রী জ্বর
    • কাশি অথবা শুকনা কাশি
    • শ্বাসকষ্ট
    • ডায়রিয়া অথবা বমি
  • corona

    সপ্তম দিন

    • উচ্চ মাত্রায় জ্বর ১০০ ডিগ্রির বেশি
    • আরো বেশি কাশি
    • সারা শরীরে ব্যথা
    • ডায়রিয়া অথবা বমি
  • corona

    অষ্টম ও নবম দিন

    • উপসর্গগুলো আরো জোরালো হবে
    • জ্বর আরও বাড়বে
    • শ্বাসকষ্ট আরও বাড়বে
লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের শরন্নাপন্ন হোন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করুন।