হুমায়রা আজম লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে যোগদান করেন। আর্থিক খাতে হুমায়রা আজম গত ৩৪ বছর ধরে ব্যবসায়িক পুনর্গঠন ও পরিবর্ধনে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অসামান্য নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে আসছেন।
তিনি ছিলেন ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধান নির্বাহী। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো ছিলোঃ ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। তিনি পেশাগত জীবনে কর্পোরেট ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক ব্যাংকিং, বৈদেশিক বাণিজ্য, ট্রেজারি, রিটেইল ব্যাংকিং, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, শাখা ব্যাংকিং, ইসলামিক ব্যাংকিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মূলধন ব্যবস্থাপনা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন।
হুমায়রা আজম ১৯৯০ সালে ‘এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক’-এ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তাঁর গৌরবময় কর্মজীবন শুরু করেন, এবং পরবর্তীতে দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে তিনি বিভিন্ন নেতৃত্বস্থানীয় দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি তিনটি বহুজাতিক ব্যাংক, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং দুটি স্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর মেয়াদকালে, এইচএসবিসি বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-তে তিনি শক্তিশালী কাঠামো গড়ে তোলা থেকে শুরু করে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং সফল কৌশল বাস্তবায়নে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
সর্বশেষ, হুমায়রা আজম ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তার নেতৃত্বে ব্যাংকটি অপারেটিং মুনাফা, আমানত এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে ট্রাস্ট ব্যাংক একাধিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে, যার মধ্যে ভিসার প্রিন্সিপাল সদস্য হওয়া, মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা এবং ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগে স্বীকৃতি পাওয়া অন্যতম। তাঁর অসামান্য নেতৃত্বে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ২০২২ এবং ২০২৩ সালে পরপর দুবার "সাসটেইনেবিলিটি রেটিং"-এ সেরা সাতটি ব্যাংকের মধ্যে নিজেদের স্থান করে নেয়।
হুমায়রা আজম তার দৃঢ় নেতৃত্বগুণ, বিশ্লেষণী দক্ষতা এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অক্সফোর্ড এর একটি এডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রামে তাকে বৈশ্বিক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়াও, তিনি ইনসিড থেকে এডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন। তিনি ক্যামব্রিজ আইএফএ কর্তৃক WOMANi 2021 এবং 2022 প্রতিবেদনে ইসলামিক ব্যবসা ও অর্থায়নে প্রভাবশালী সাতজন নারীর মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে জেসিআই প্রদত্ত "উইমেন অফ ইনস্পিরেশন অ্যাওয়ার্ড" ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের "টপ উইমেন ব্যাংকার্স অ্যাওয়ার্ড"। আর্থিক খাতে শীর্ষস্থানীয় অনেককে বিভিন্ন সময় তিনি পরামর্শ দেন। তাঁর কর্মজীবন ছিল তিনটি দর্শনে পরিচালিত। যেমনঃ কঠোর পরিশ্রম, সত্য কথা বলার সাহস এবং সৎ, মানবিক ও নম্রতার সাথে গ্রাহকদের সেবা করার প্রতিশ্রুতি।
হুমায়রা আজম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অসংখ্য পেশাদার প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন কর্মসূচি, কর্মশালা এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
জনাব কামরুজ্জামান, এফসিএমএ, বর্তমানে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসিতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ অপারেশনস পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অ্যাসেট অপারেশনস, লায়াবিলিটি অপারেশনস, ট্রেজারি অপারেশনস, ট্রাঞ্জেকশন্স ম্যানেজমেন্ট, স্পেশাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (এসএএম), অ্যাসেট অ্যাকাউন্টস মেইন্টেইনেন্স, ক্লোজিং অ্যান্ড ক্লিয়ারেন্স এবং এমআইএস অ্যান্ড রেগুলেটরি রিপোর্টিং এর দ্বায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি হেড অফ ক্রেডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, হেড অফ বিজনেস ডিভিশন-১, হেড অফ ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হেড অফ অ্যাকাউন্টস, হেড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং কোম্পানি সেক্রেটারী এর মতো গুরুত্বপূর্ন বিভাগ গুলোতে কর্মরত ছিলেন। তিনি লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড-এর বোর্ডে মনোনীত ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন এবং পূর্বে মাইডাস ফিনান্সিং পিএলসি-এর বোর্ডে মনোনীত ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পূর্বে তিনি ওপেক্স গ্রুপ, প্রাইম গ্রুপ, ব্যাবিলন গ্রুপ এবং দেশখ্যাত বিভিন্ন প্রস্তুতকারক এবং সেবাপ্রদানকারী সংস্থায় নিযুক্ত ছিলেন।
জনাব কামরুজ্জামান, পার্ট-টাইম এবং গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে ইন্সটিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএএব), ইন্সটিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কাজ করেছেন; গেস্ট ট্রেইনার হিসেবে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এবং বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানীজ’ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ)-এ দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০১৮ তে আইসিএমএবি এর ঢাকা ব্রাঞ্চ কাউন্সিল (ডিবিসি) এর চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন এবং ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইসিএমএবি'র জাতীয় কাউন্সিল সদস্য হিসাবে ২০২১-এ ট্রেজারার এবং ২০২২ সেক্রেটারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অফ একাউন্ট্যান্টস (সাফা)-তে ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপারেন্সি এন্ড গভর্নেন্স কমিটির সদস্য হিসেবে অবদান রেখেছেন।
জনাব কামরুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি আইসিএমএবি-এর একজন ফেলো সদস্য (এফসিএমএ)। ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতার জন্য তিনি শ্রীলঙ্কা, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড এবং ইতালি ট্রেনিং-এ অংশগ্রহন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন লংকাবাংলায় কর্মরত রয়েছেন এবং লংকাবাংলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে নিজের কর্মদক্ষতা প্রর্দশন করেছেন।
জনাব খোরশেদ আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, তিনি ১৯৯৮ সালে বণিক বাংলাদেশে যোগদান করেন এবং রিটেইল ফাইন্যান্স সার্ভিস বিভাগ-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এর দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ফাইন্যান্স, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হিউম্যান রিসৌরসেস, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড, হোম লোন, এসএমই ফাইন্যান্স, অটো লোন, পার্সোনাল লোন এবং সিকিউরড লোন সেক্টরে কাজ করেছেন।
জনাব খোরশেদ তার কর্মজীবন ১৯৯২ সালে রূপালী জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড-এ ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টস বিভাগে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্ট-এ স্নাতক এবং স্নাতোকত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
জনাব কামরুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব ট্রেজারী অ্যান্ড এফ আই হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বরত রয়েছেন। তিনি ৭ অক্টোবর, ১৯৯৭-এ তৎকালীন বণিক বাংলাদেশ লিমিটেডে যোগদান করেন। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এ তিনি বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং ফাইন্যান্স ও ট্রেজারীর কার্যাবলী দেখাশোনা করেছেন।
জনাব ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের অ্যাকাউন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসাবে দেশের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানী "প্রাণ গ্রুপ" এর সাথে তার কর্মজীবন শুরু করেন। জনাব কামরুল বাংলাদেশ মানি মার্কেট ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামডা) এর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
জনাব মোস্তফা কামাল সিনিয়র এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০৯ সালে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এ যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি এবং এর সাবসিডিয়ারী কোম্পানীগুলোর গ্রুপ কোম্পানী সেক্রেটারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি হেড অফ এইচআর এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। জনাব কামাল তাঁর স্নাতক এবং স্নাতোকত্তর ডিগ্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অ্যাকাউন্টিং অনুষদ থেকে অর্জন করেন।
তিনি ইন্সটিটিউট অফ চার্টার্ড একাউন্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর একজন ফেলো সদস্য। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এ যোগদানের পূর্বে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের জুন পর্যন্ত তিনি হেড অফ আইসিসি হিসেব আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড-এ কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি রহমান রহমান হক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস (কেপিএমজি ইন্টারন্যাশনাল এর মেম্বার ফার্ম) এর ম্যানেজার, অডিট এবং অ্যাডভাইজরি সার্ভিস-এ কাজ করেছেন।
জনাব কামাল ২০১০-২০১১ সালে আইসিএবি এর ঢাকা রিজিওনাল কমিটি এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত আইসিএবি এর কাউন্সিলর মেম্বার ছিলেন । এছাড়াও ২০১৭ সালে তিনি আইসিএবি এর এডুকেশন এবং ট্রেইনিং এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনাব কামাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন (আইসাকা) এর বাংলাদেশ-এর কার্যক্রম সূচনা করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আইসাকা বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এর ফাউন্ডার ডিরেক্টর, কমিউনিকেশন এবং এক্স-ডিরেক্টর, একাডেমিক ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন। জনাব মোস্তফা কামাল ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন (একটি নন-প্রফিট সংস্থা) এর একজন ফাউন্ডার মেম্বার এবং জেনারেল সেক্রেটারী। তিনি বসুন্ধরা আই হসপিটাল এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টর এবং পলিসি এডভাইজিং কমিটি এর একজন মেম্বার। ২০১৭-২০২০ সালে, জনাব কামাল বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড এবং টেলিফোন শিল্প সংস্থা লিমিটেড নামে দুটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থায় সরকার মনোনীত বোর্ড সদস্য ছিলেন।
জনাব মোহাম্মদ শোআইব, বর্তমান এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ২০০৭ সালের মে মাসে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এ অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি কর্পোরেট অ্যাসেট অ্যান্ড লায়াবিলিটি পোর্টফোলিও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হেড অফ কর্পোরেট ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জনাব শোআইব প্রায় ২১ বছর ধরে বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউটে ক্রেডিট এবং ইনভেস্টমেন্ট, কর্পোরেট ফাইন্যান্স, রিটেইল ফাইন্যান্স, এসএমই ফাইন্যান্স, ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং কর্পোরেট লায়াবিলিটি বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সে যোগদানের পূর্বে তিনি প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এর চট্টগ্রাম শাখার ব্রাঞ্চ ইন-চার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমের উপর ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
জনাব শোআইব যুক্তরাজ্যের ইনস্টিটিউট অফ ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইএফএ) এর একজন সহযোগী সদস্য এবং অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইপিএ) এর সদস্য। এছাড়াও তিনি দেশ এবং বিদেশে একাধিক ট্রেইনিং, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ-এ অংশগ্রহণ করেন।
জনাব শামীম আল মামুন, ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসিতে চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। এর পূর্বে তিনি ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেড এর সিএফও এবং কোম্পানী সেক্রেটারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইন্সটিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর একজন ফেলো মেম্বার। তিনি বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রায় ১০ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
জনাব শামীম অ্যামেরিকান ইন্টারনেশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (এআইএউবি) থেকে কম্পিউটার সাইন্স অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি তাঁর মাধ্যমিক শিক্ষা সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে সম্পন্ন করেন। জনাব শামীম স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এবং ফোরকাস্টিং, প্রোসেস ডিজাইন এবং প্রোডাক্টিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট, ফাইন্যান্সিয়াল গভর্নেন্স এবং মডেলিং, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং এবং ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট-এর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এছাড়াও তিনি আইসিএবি এর শিক্ষার্থীদের ট্রেইনিং এবং এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট এর প্রসেস তৈরীতে ভূমিকা রাখেন।
জনাব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ২০১৩ সাল থেকে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের হেড অফ সিএমএসএমই ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস হিসেবে কর্মরত আছেন। জনাব খান ১৯ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর সাথে জড়িত। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসিতে যোগদানের পূর্বে তিনি ব্র্যাক ব্যাংক এর এসএমই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।
জনাব খান অ্যাকাউন্টিংয়ে এম.কম এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে মেজর সহ এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট দ্বারা যৌথভাবে আয়োজিত এনআইবিএম, পুনে (ভারত)-এ এসএমই-এর অর্থায়ন সংক্রান্ত অ্যাডভান্সড ট্রেইনিং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া জনাব খান এসআইএম (সিঙ্গাপুর) এর অধীনে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এবং থিংকিং কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন। একজন উৎসাহী শিক্ষানবিশ জনাব কামরুজ্জামান খান বর্তমানে আমেরিকার হোয়ার্টন, পেনসিল্ভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “স্ট্রাটেজিক ম্যানেজমেন্ট” বিষয়ে প্রফেশনাল সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করছেন। ব্যবসায়িক উন্নয়ন, ঝুঁকি পরিচালনা, অর্গানাইজেশনাল ট্রান্সফরমেশন এবং সাসটেইনেবল ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে তার ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।
জনাব মোহাম্মদ হাফিজ আল আহাদ, এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ হিউম্যান রিসোর্সেস হিসেবে তিনি লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের পিপল অ্যান্ড কালচার ফিলোসফি এবং স্ট্রাটেজির মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন।
জনাব হাফিজ একজন রেজাল্ট-ড্রিভেন এইচআর প্রফেশনাল যিনি প্রায় দুই দশক মানব সম্পদের বিভিন্ন সেক্টরে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক এর সাথে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন এবং এরপর তিনি নোকিয়া(নেটওয়ার্ক) কোম্পানীতে লীড এইচআর, ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনাল (পিএমআই) বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এ হেড অফ এইচআর, দ্যা কোকাকোলা কোম্পানী (আইপিবিএল) বাংলাদেশের হেড অফ এইচআর, ইউনিভার্সিটি অফ লিবেরাল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এ ডিরেক্টর-সিএসও এবং রাহিমাফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেড (আগোরা) এ হেড অফ এইচআর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দেশ এবং বিদেশে বিভিন্ন হিউম্যান ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সংস্থা ইউনিক গ্রুপে চীফ পিপল অফিসার (সিপিও) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জনাব হাফিজ একজন স্ট্রাটেজিক এবং ইনোভেটিভ এইচআর প্রোফেশনাল যিনি ব্যাবসায়িক স্ট্রাটেজিকে এইচআর অ্যাকশনে পরিণত করতে সক্ষম, যা দক্ষতা, অরগানাইজেশলান প্রফিটাবিলিটি, গ্রোথ এবং ইমপ্লোয়ী এনগেজমেন্ট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। হিউম্যান ক্যাপিটালকে সংস্থার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে পরিনত করার জন্য কোম্পানী ও লিডারশিপ টিমকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
জনাব মোহাম্মদ হাফিজ একজন দক্ষ ইনফ্লুয়েন্সার যিনি ভিশন এবং স্ট্রাটেজিগুলোকে অ্যাকশনেবল এবং ভ্যালু-অ্যাডেড গোলে রূপান্তরিত করেন। কোম্পানীর পিপল এবং কালচার-এ নেতৃত্ব দেবার পাশাপাশি জনাব হাফিজ ম্যানকম, ইন্টিগ্রিটি কমিটি, আইসিটি স্টিয়ারিং কমিটি, এবং কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি কমিটি (সিএসআর) এর সদস্য হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
জনাব শেখ মোহাম্মদ ফুয়াদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তিনি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি-তে ১৯৯৯ সালে যোগদান করেন। ২০১১ সালের নভেম্বর মাস থেকে তিনি হেড অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন হিসেবে রয়েছেন। আইটি অপারেশনস, আইটি প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, আইটি গভর্নেন্স এবং আইটি রিস্ক ম্যানেজমেন্ট-এ শেখ মোহাম্মদ ফুয়াদ এর ১৮ বছরের বেশি কর্ম অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আইসিটি প্রধান হিসেবে, জনাব ফুয়াদ ইনফোরমেশন টেকনলজীর বিভিন্ন উন্নয়ন এবং সফলভাবে প্রযুক্তির সমন্বয় স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়িক দক্ষতা ও প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে সংগঠনের স্ট্রাটেজিক পরিকল্পনায় অংশ গ্রহন করেন।
লংকাবাংলা-এ জনাব ফুয়াদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখা যেমন অবকাঠামো ও নেটওয়ার্ক, আইসিটি নিরাপত্তা ও ঝুঁকি, অ্যাপ্লিকেশন ও ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞ অত্যন্ত পেশাদার কর্মীদের একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি পেশাদার সার্টিফিকেশন যেমন CDCP, COBIT®5, PRINCE2®, ITIL এবং MCP অর্জন করেছেন।
জনাব মোহাম্মদ নাজমুল হাসান টিপু, এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিফ ক্রেডিট অফিসার লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দায়িত্বে আছেন। তিনি ২০১৩ সালের মে মাসে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসিতে ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনে এভিপি হিসাবে যোগদান করেন । ব্রাঞ্চ (রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট) এবং হেড অফিস লেভেলে (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট ডিভিশন) উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় ৯ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সে তিনি সাফল্যের সাথে প্রায় ৫ বছর ইউনিট প্রধান, কর্পোরেট ক্রেডিট, সিআরএম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অবশেষে এপ্রিল ২০১৮ এ তিনি প্রধান ক্রেডিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান।
জনাব নাজমুল তার বিএসসি ডিগ্রি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে (এমবিএ) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৮ সালে তিনি চার্টার্ড ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) চার্টার অর্জন করেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে বেশ কয়েকটি ট্রেইনিং, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ এ অংশগ্রহণ করেন।
জনাব মোহাম্মদ হাবিব হায়দার বর্তমানে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি এর জেনারেল ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিস ডিভিশন এর প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে তিনি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এ কর্মরত আছেন। এর পূর্বে তিনি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এর জিআইএস ডিভিশন এ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন।
সাপ্লাই চেইন, লজিস্টিকস এবং প্রজেক্টে এক্সপোজার সহ ব্যাঙ্কিং এবং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন সেক্টরে তার ১৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও, তিনি আমেরিকার স্বনামধন্য ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন এডুকেশন অ্যালায়েন্স (ISCEA) হতে সার্টিফাইড সাপ্লাইড চেইন ম্যানাজমেন্ট (CSCM) ডিগ্রী অর্জন করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন ট্রেইনিং এবং ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেছেন।
