লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি এর ইতিহাস

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি ১৯৯৭ সালে, বাংলাদেশ ব্যাংক এর ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন অ্যাক্ট-১৯৯৩ এর অধীনে, দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগে একটি যৌথ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউট হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার প্রথিতযশা ব্যবসায়িক ও প্রতিষ্ঠানের সন্মিলিত উদ্যোগে সময়ের সাথে সাথে দেশের একটি অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সেবার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যাত্রার প্রাক্কাল থেকে করর্পোরেট, রিটেইল, আর্থিক পণ্য ও পরিষেবা প্রদান করে আসছে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের প্রত্যয়ে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স আর্থিক সেবা সিএমএসএমই খাতেও প্রসারিত করছে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা দেশে সুনামের সাথে যাত্রার শুরু থেকেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবসা করে আসছে। এছাড়া লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এর রয়েছে দেশের বৃহৎ স্টক ব্রোকারেজ সার্ভিস লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ।

লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট, লংকাবাংলা ইনফোরমেশন টেকনোলজিস কোম্পানী দিয়ে করর্পোরেট অ্যাডভাইসরি এবং ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি সেবা সাফল্যের সাথে দিয়ে আসছে।

কর্পোরেট প্রোফাইল

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি ১৯৯৭ সালে, বাংলাদেশ ব্যাংক এর ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন অ্যাক্ট-১৯৯৩ এর অধীনে, মাল্টিন্যাশনাল উদ্যোগে, একটি যৌথ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউট হিসেবে যাত্রা শুরু করে। লংকাবাংলা দেশের নেতৃস্থানীয় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা বর্তমানে, গ্রাহকদের বিশেষ কর্পোরেট ফাইন্যান্সিয়াল, রিটেইল ফাইন্যান্সিয়াল, সিএসএমই ফাইন্যান্সিয়াল, স্টক ব্রোকিং, কর্পোরেট অ্যাডভাইজরি এবং ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট সেবা সাফল্যের সাথে প্রদান করে আসছে।

গ্রাহকদের সর্বোচ্চ পরিসেবা প্রদান করার লক্ষ্যে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এর কৌশল ও ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন ও অটোমেশন করছে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কাঠামো অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রধান ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলোকে তাদের ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে নিয়ে আসার জন্য লংকাবাংলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তার ব্যবসায়িক পরিধি বাড়িয়ে চলছে।

ব্যবসায়িক লক্ষ্য ও অর্থনৈতিক সেবার পরিধি বৃদ্ধির জন্য দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শাখা রয়েছে এছাড়া, উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য মোবাইল ল্যান্ডিং অফিসারের মাধ্যমে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় পৌছে গেছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স দেশের একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রেডিট কার্ড সেবা দিয়ে আসছে। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করার জন্য সবসময়ই নতুন নতুন অফার, মার্চেন্টের সংখ্যা বাড়ানো, গ্রাহকদের নিরাপত্তায় সর্বদায় লংকাবাংলা ফাইন্যান্স সচেষ্ট।

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পুঁজিবাজারের গ্রাহকদের নিরাপদ ও দ্রুত সেবা প্রদান করছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শীর্ষস্থানে রয়েছে। পুঁজিবাজারকে কার্যকর, প্রাণবন্ত ও কর্পোরেট গভর্নেন্সের মাধ্যমে এর ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচলনা করে আসছে। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ দেশের গ্রহকদের আধুনিক সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে পুঁজিবাজার ও মার্কেট কেন্দ্রিক বিশ্বমানের গবেষণা করে থাকে।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এর আরেকটি প্রতিষ্ঠিত সবসিডিয়ারি কোম্পানী হচ্ছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। দেশের প্রিমিয়াম ইনভেস্টমেন্টস ব্যাংক হিসেবে কর্পোরেট অ্যাডভাইজরি, ইস্যু ম্যানেজমেন্ট এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সেবা দিয়ে আসছে।

দেশের গ্রাহকদের প্রফেশনাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবার জন্য রয়েছে লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড যা অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে গ্রাহকের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স সর্বদাই আমাদের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ও আধুনিক সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর। এই ডিজিটালাইজেশনের যুগে সেবা ও পণ্যের দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স তার ব্যাবসায়িক অপারেশনাল পর্যায়ে অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তার ব্যাপারে আপোষহীন তাই প্রতিনিয়ত টেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটিজ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় ডিজিটাল ব্যাপারগুলোর প্রতি সুনির্দিষ্ট ও কঠোর নজরদারী করা হয় ও সিকিউরিটি বিষয়ক আপডেট প্রতিনিয়ত করা হয়। যাতে গ্রাহক সেবায় কোন প্রভাব না পড়ে। এছাড়া উন্নত ও ডিজিটাল সেবা প্রদানের জন্য আইটি ইনফ্রাসট্রাকচার ও মানব সম্পদকে আধুনিক টেকনোলজি সম্বন্ধে ট্রেনিং এর সুবিধা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা দেয়া হচ্ছে।

সেবা ও পণ্যের মান গ্রাহকদের কাছে দ্রুত ও সহজভাবে পৌছানোর জন্য লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ব্যবসায়িক ও অপারেশনাল বিভাগগুলো সুদক্ষ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থিক সেবার মান ও দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য অপারেশন, ট্রেজারি, কোম্পানী সেক্রেটারিয়েট, আইটি, সিআরএম, এইচআরএম, ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টস, লিগ্যাল, জিআইএস এবং ব্র্যান্ড মার্কেটিং সুনির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্যকে সামনে রেখে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের রিটেইল, কর্পোরেট ও সিএমএসএমই ব্যবসাকে অতি দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারছে।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ব্যবসায়িক বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন এর রক্ষার জন্য সদা সচেষ্ট। একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে দায়বদ্ধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবেশ, প্রকৃতি, দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ণ, ডিজাষ্টার ম্যানেজমেন্ট, বিরূপ পরিবেশ মোকাবেলা করার সক্ষমতা অর্জনের জন্য ভিন্ন প্রকল্পের সাথে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স নিজেদের যুক্ত করে চলেছে। কেবল ব্যবসায়িক উন্নয়ন দিয়ে একটি টেকসই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বরং আমরা বিশ্বাস করি একটি টেকসই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকতে হলে আমাদের স্টেকহোল্ডারদের সাথে-সাথে পরিবেশের প্রতিও সমান গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

সর্বোচ্চ নৈতিকতা, স্বচ্ছতা ও কর্পোরেট গভর্নেন্স যেকোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূলমন্ত্র। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স তার শুরু থেকেই এই বিষয়গুলো তার ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিলিয়ে একটি স্বচ্ছ আর্থিক কাঠামো তৈরী করেছে। তাই লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এমন একটি টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা গ্রাহকদের পন্য ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি অনুকরনীয় মডেল ও স্টেকহোল্ডারদের ব্যবসায়িক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেও সমান সচেষ্ট।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স দেশের অর্থনৈতিক সেবার পরিসর বৃদ্ধি করার জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ ২৫ বছরের আধিক সময় ধরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে গ্রাহক, স্টেকহোল্ডারদরে সেবা ও চাহিদা পূরন করে যাচ্ছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়ত ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে আধুনিক সেবার মান দন্ডে। গ্রহক সন্তুষ্টির জন্য দেশে ২৭টি শাখা, মোবাইল ল্যান্ডিংঅফিসার, ২৪/৭ কন্টাক্ট সেন্টার, ফিনস্মার্ট অ্যাপ, শিখা চ্যাটবট এর মতো আধুনিক সেবা গ্রহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকের সর্বোচ্চ সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমরা দেশের বৃহৎ পেমেন্ট পার্টনারশীপ ব্যবস্থা করা হয়েছে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স বিশ্বাস করে গ্রাহকের জীবনের মান উন্নয়ন মানেই দেশের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার একটি দৃষ্টান্ত। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স সর্বদাই গ্রাহকের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নের সহযোগী হতে চায়।

মিশন , ভিশন ও ভ্যালু

ভিশন:
সকল ব্যবসায়িক বিনিয়োগের যথাযোগ্য পরিবেশ তৈরি ও দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে সকল অংশীদারদের সাথে নিয়ে সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি নির্ভরশীল আর্থিক পরিষেবাদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া।

মিশন:

  • গ্রাহকদের উন্নয়নের সহযোগী হয়ে তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সর্বোচ্চ সেবার অঙ্গীকার নিশ্চিত করা
  • প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মেধা ও মননশীলতার সংস্কৃতি বজায় রাখা
  • শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগকৃত অর্থের টেকসই ও সন্তোষজনক পরিচালনা নিশ্চিত করা
  • আমাদের আর্থসামাজিক জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে উদ্যোগী হওয়া

কোর ভ্যালুসমূহ:
আমাদের মূল্যবোধ ও নীতিগুলো আমাদের ব্যবসায়িক পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য নিন্মোক্ত মূল্যবোধ ও নীতিগুলো মেনে চলতে হবে-

  • দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করার মনোভাব তৈরি
  • গ্রাহক-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ও সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে মনোনিবেশ করা
  • দলগতভাবে কর্ম সম্পাদনের মানসিকতা রাখা
  • নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে কর্মে মনোনিবেশ করা
  • সবার প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল ও সম্মানজনক আচরণ নিশ্চিত করা

আমাদের স্ট্র্যাটেজি

  • ডাইভার্সিফাইড পোর্টফোলিও ও টেকসই উদ্ভাবনের সমন্বয়ে পরিচালনা করা
  • গ্রাহকদের আর্থিক সুবিধা সহজলভ্য করা
  • গ্রাহকরাই ব্যবসার মূলমন্ত্র
  • টেকসই ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্টিত হওয়া
  • দক্ষতার সাথে ব্যালেন্সশীট ম্যানেজ করা

লংকাবাংলার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ২৫ বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। টেকনলজি ও ডিজিটালাইজেশনের যুগে ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক প্রতিটি স্তরে আধুনিকতার সাথে উদ্ভাবনী সমাধানের সমন্বয় সাধন করে পন্য ও সেবায় গুনগত মান বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

লংকাবাংলা তার ব্যবসায়িক গুনগত মান সর্বোচ্চ রাখার ব্যাপারে সদা সচেষ্ট এবং যাতে এই গুনগত মানের কোন ব্যত্যয় না ঘটে তার জন্য লংকাবাংলা সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহনে সদা তৎপর। আর গ্রাহকদের কাছে একটি টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনার লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে এবং র সকল গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিগত বছরগুলোতে বৈশ্বিক মহামারী, যুদ্ধ, ভূ-রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ইত্যাদির কারনে একটি কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। আর এটাকেই ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের মাঝে “নিউ নরমাল” হিসেবে বিবেচনা করে ভবিষৎ কর্মপস্থা নির্ধারন করা হয়েছে। সব পরিবর্তনের তথ্য ও প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে একটি টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামনে এগিয়ে যাবার জন্য আধুনিক উদ্ভাবনী ও যুগোপযোগী স্ট্র্যাটেজি নিতে হবে।

বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, কারিগরি দক্ষতা ও উদ্ভাবনী সক্ষমতা মাথায় রেখে আগামী বছরগুলোর জন্য পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে এবং এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কিছু পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করতে হবে।

  • বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে সিএমএসএমই। পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতই আমাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা একটি বিশাল অংশ এই সিএমএসএমই সেক্টর এর উপর নির্ভরশীল। সিএমএসএমই থেকে আমরা লোন ও ডিপোজিটের একটি টেকসই পোটফোলিও বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। সিএমএসএমই সেক্টর এ ডাইভারসিফিকেশন আনতে আমরা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে সেবা প্রদানে লক্ষ্যে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছি।
  • আমরা সর্বদাই ডিজিটাইজেশন ও তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহার উৎসাহিত করি। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যানালিটিক্স, ডাটা, আইওটি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে একটি দক্ষ ও রেজাল্ট অরিয়েন্টেড ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক মানবসম্পদ ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বর্তমানে দক্ষ মানবশক্তির উদ্ভাবনী ক্ষমতার সাথে প্রযুক্তির আধুনিকায়নের সমন্বয়ে একটি টেকসই, ক্লাউড বেজড ব্যবসায়িক কাঠামো তৈরী করে ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা ডাটা সিকিউরিটি, অ্যালগরিদম, মেশিন লার্নিং, ডাটা অ্যানালাইসিসে পারদর্শী, যা গ্রাহকদের সেবা ও পন্যের নিরাপত্তা ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করছে।
  • লংকাবাংলা ফাইন্যান্স সব সময়ই আথির্ক সেবা গ্রাহকদের দোড়গোড়ায় নিয়ে যাবার জন্য প্রতিনিয়ত আধুনিক ও সর্বোত্তম প্রযুক্তির ব্যবহার করছে এবং এই ধারা সামনের দিকেও অব্যহত থাকবে। ডিজিটাইজেশনের এই যুগে আমাদের নিজেদের একটি ফিনটেক কোম্পানির মত পন্য ও সেবা নিয়ে বাবসায়িক সাফল্য নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা হিসেবে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলোকে আরো শক্তিশালী করছি এবং এর সাথে আমাদের ব্যবসায়িক সেবাকে আরো সহজ ও দ্রুত করার জন্য আমাদের প্রসেসগুলোকে অটোমেশনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি যাতে গ্রাহক আরো সহজে সেবা ও পন্য গ্রহন করতে পারে। আমারা আমাদের রিটেইল ও সিএমএসএমই পণ্যগুলোকে আরো সহজলভ্য করার জন্য প্রযুক্তির সহায়তার সাথে সাথে আমাদের মানবসম্পদকেও এই ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা সম্বন্ধে সম্যক ট্রেনিং ও ডিভাইস দিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের সেবা ও পণ্যকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে গিয়ে আর্থিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসছি।
  • আমরা আমাদের ব্যবসায়িক প্রসেসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্যবসায়িক সাফল্যকে আরো সুদৃঢ় করতে চাই। এই সকল প্রযুক্তি ও সিস্টেমের অর্ন্তভুক্ত আমাদের ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর সাথে সাথে গ্রাহক সন্তুষ্টিও বাড়াবে। গ্রাহকরা আরো সহজতর ও দ্রুততম সময়ে আমাদের পণ্য ও সেবা গ্রহন করতে পারবে এবং আমরাও আমাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবো। ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি মানে হচ্ছে আরো বেশী পরিমান গ্রাহককে আমরা আমাদের আর্থিক পরিসেবার মাঝে নিয়ে আসতে পারবো। আমাদের লোন ও ডিপোজিট গ্রাহকরা আরো বেশী নিরাপদে, সেবা গ্রহন করতে পারবে এবং আমরাও আরো সহজ উপায়ে গ্রাহকদের তথ্য প্রদান করতে পারবো।
  • লংকাবাংলা হাব ও স্পোক মডেল চালু করার মধ্য দিয়ে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে দেশের আর্থিক পরিসেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারবে এবং বিশেষ করে সিএমএসএমই গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি তথা দেশের অর্থনীতিতে আরো অবদান রাখার জন্য আমরা ভবিষ্যত প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের ব্যবসায়িক মডেল এ পরিবর্তন করবো।
  • আমরা আমাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা অর্জন ও আমাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের মানব সম্পদকে আরও দক্ষ করার জন্য বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করি। আমাদের দক্ষ মানবশক্তি তার সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতে যাতে একটি ফলপ্রসু অবদান রাখতে পারে সেই জন্যও আমরা তাদের পরফরমেন্স ম্যানেজমেন্ট মেট্রিক্স এর উপর গুরুত্ব আরোপ করি এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজন মত আমর সেটার পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করি প্রতিনিয়ত। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
  • ব্যবসায়িক কাঠামোতে নন-পারফরমিং লোন একটি বিশাল নিয়ামক। আমাদের দক্ষ ম্যানেজমেন্ট ও স্বচ্ছ ব্যবসায়িক কাঠামোতে আমরা সর্বদাই নন-পারফরমিং লোনের ব্যপারে সচেষ্ট এবং আমরা এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি যেন এটি একটি সহনীয় মাত্রায় আমদের ব্যবসায়িক কাঠামোতে বিদ্যমান থাকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন নীতিমালার বাস্তবায়ন ও এর পর্যালোচনার জন্য আমার নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহন করে আসছি। এই সকল কর্মকান্ড আমাদের দক্ষতা আরো বাড়িয়েছে। আমাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক নীতিমালা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অন্যান্য বাস্তব সম্মত নীতিগুলোর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনামের সাথে আমাদের ব্যবসায়িক স্ট্রাটেজির মাধ্যমে আরো সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
  • একটি টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সুনামের সাথে পরিচালনা করার জন্য আমরা সুশাসন, নিয়ম ও নীতিমালার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেও সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। পরিবেশ, টেকসই ব্যবস্থাপনা ও কর্পোরেট গভর্নেন্স এর প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে আমরা আমাদের সাফল্যকে আরো বহুদূর নিয়ে যেতে চাই। আমাদের সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে সম্মিলিতভাবে পরিবেশ ও জলবায়ুর ভারসম্যের মোকাবেলা জন্যও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

Board of Directors

Management Team

পুরষ্কার ও অর্জন

২০২৪

  • এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড বিজনেস (উদ্ভাবন ) ২০২৩-২০২৪
  • এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড কন্টাক্টলেস ২০২৩-২০২৪

২০২৩

  • এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড বিজনেস (অভ্যন্তরীন) ২০২২-২০২৩
  • এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড কন্টাক্টলেস ২০২২-২০২৩

২০২২

  • আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২২
  • এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড বিজনেস (অভ্যন্তরীন) ২০২১-২২
  • এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড কন্টাক্টলেস ২০২১-২২

২০২১

  • বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ডঃ ফিনটেক ইনোভেশন অফ দা ইয়ার ২০২১ (শিখা চ্যাটবট) অনারেবল মেনশন
  • এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড কন্টাক্টলেস ২০২০-২১
  • এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ক্রেডিট বিজনেস (অভ্যন্তরীন) ২০২০-২১
  • যুগ্ম প্রথম রানার্স আপ- কর্পোরেট গভর্নেন্স
  • পিসিআই ডিএসএস সার্টিফিকেশন

২০২০

  • আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২০
  • দ্বিতীয় পজিশনঃ ইন্টেগ্রেটেড রিপোর্টিং ক্যাটেগরি
  • যুগ্ম প্রথম স্থান- কর্পোরেট গভর্নেন্স ডিসক্লোজার ক্যাটেগরি
  • সার্টিফিকেশন অফ মেরিট- ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেক্টর ক্যাটেগরি
  • সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অফ একাউন্টস (সাফা) সার্ক অ্যানিভারসারি এওয়ার্ড ২০২০
  • যুগ্ম দ্বিতীয় রানার্সআপ- ইন্টেগ্রেটেদ রিপোর্টিং ক্যাটেগরি
  • আইএসও/আইইসি ২৭০০১ঃ২০১৩ সার্টিফিকেশন

২০১৯

  • আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১৯
  • আইসিএবি কর্পোরেশন গভর্নেন্স ডিসক্লোজার এওয়ার্ড ২০১৯
  • আইসিএবি ইন্টেগ্রেটেড রিপোর্টিং এওয়ার্ড ২০১৯
  • সাফা বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট, ইন্টেগ্রেটেড রিপোর্টিং
  • সার্ক অ্যানিভার্সারি এওয়ার্ড ২০১৯

২০১৮

  • আইসিএবি ইন্টেগ্রেটেড রিপোর্ট এওয়ার্ড ২০১৮
  • সাফা বিপিএ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট এওয়ার্ড ২০১৮
  • আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১৮

২০১৭

  • আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট এওয়ার্ড ২০১৭
  • আইসিএবি কর্পোরেট গভর্নেন্স এওয়ার্ড ২০১৭
  • আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১৭
  • সাফা বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১৭
  • সাফা কর্পোরেট গভর্নেন্স এওয়ার্ড ২০১৭

২০১৬

  • সাফা বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট এওয়ার্ড ২০১৬
  • আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট এওয়ার্ড ২০১৬
  • আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১৬

২০১৫

  • সাফা বিপিএ এওয়ার্ড ২০১৫: বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট (ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেক্টর ক্যাটেগরি-বিজয়ী)
  • আইসিএবি জাতীয় পুরস্কার: বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্টস ২০১৫ (দ্বিতীয় পজিশন)
  • সিঙ্গাপুর ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (এসআইএম) এর মেম্বারশীপ সার্টিফিকেশন প্রাপ্তি

২০১৪

  • বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট এওয়ার্ড এবং সার্ক অ্যানিভারসেরি এওয়ার্ড ফর কর্পোরেট গভর্নেন্স ডিসক্লোজার ২০১৪ (বিজয়ী)
  • ১৫তম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১৪ (২য় পজিশন)
  • আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট এওয়ার্ড ২০১৪

২০১৩

  • ১৪তম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১৩ (৩য় পজিশন)
  • আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট এওয়ার্ড ২০১৩

২০১১

  • সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অফ একাউন্টস (সাফা) কর্তৃক বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট এওয়ার্ড এবং সার্ক অ্যানিভারসেরি এওয়ার্ড ফর কর্পোরেট গভর্নেন্স ডিসক্লোজার ২০১১
  • ১২তম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১১ (৩য় পজিশন)
  • সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অফ একাউন্টস (সাফা) কর্তৃক বেস্ট প্রেজেন্টেড একাউন্টস এওয়ার্ড ২০১০ যুগ্মভাবে ১ম রানার্সআপ
  • আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট এওয়ার্ড ২০১১ (২য় পজিশন)

২০১০

  • ১১তম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড একাউন্টস এবং রিপোর্ট ২০১০ (৩য় পজিশন)

২০০৯

  • ১০ম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড একাউন্টস এবং রিপোর্ট ২০০৯ (৩য় পজিশন)

২০০৮

  • ৯ম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড একাউন্টস এবং রিপোর্ট ২০০৮ (৩য় পজিশন)

২০০৭

  • ৮ম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড একাউন্টস এবং রিপোর্ট ২০০৭ (২য় পজিশন)

২০০৬

  • ৭ম আইসিএবি জাতীয় পুরস্কারঃ বেস্ট প্রেজেন্টেড একাউন্টস এবং রিপোর্ট ২০০৬ (৩য় পজিশন)

২০০৫

  • বেস্ট পার্ফর্মিং লিজিং কোম্পানি ক্যাটেগরিতে ফাইন্যান্সিয়াল নিউজ সার্ভিস (এফএনএস) এ্যাওয়ার্ড ২০০৫

Our Milestone

আমাদের গাইডিং প্রিন্সিপাল

কোড অফ কন্ডাক্ট গাইডিং প্রিন্সিপাল

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, কোম্পানির সাময়িক সুবিধার প্রেক্ষিতে, লংকাবাংলা কখনও তার নিজস্ব নীতির সাথে আপোষ করেনা। কোম্পানির খ্যাতি এবং মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নির্দেশক নীতিগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানির কার্যক্রম এবং কর্মচারীরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।

আমাদের খ্যাতি শুধুমাত্র গ্রাহক সংখ্যার উপর নির্ভরশীল নয়, এই সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে কেউ গর্বিত কিনা, এ বিষয়টিও আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কোম্পানির কর্মচারীদের আচার-আচরণ, পদ্ধতি, নিয়ম ও নীতি অনুযায়ী মেনে চলার জন্য কোড অফ কন্ডাক্ট ডিজাইন করা হয়েছে। মিশন এবং উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য এটি কোম্পানির ভ্যালু ও ভিশন এর সাথে সামঞ্জস্য করা হয়েছে এবং কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নৈতিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। এটি লংকাবাংলার প্রতিটি কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য এবং দায়িত্ব পালনের জন্য একটি দিক নির্দেশনা। কোড অফ কন্ডাক্ট -এ অন্তর্ভুক্ত নৈতিক নির্দেশিকা ছাড়াও, অনেক আইন ও প্রবিধান রয়েছে যা আমাদের প্রতিটি ব্যবসাকে প্রভাবিত করে।ব্যবসার অগ্রাধিকার বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের সাপেক্ষে নয় বরং সকলক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্যই আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক।

ব্যক্তিগত দায়িত্ব

  • কাজের প্রতি সততা এবং নিষ্ঠা বজায় রেখে নৈতিকতার রোল মডেল হওয়া
  • কোম্পানির স্বার্থ, মর্যাদা এবং খ্যাতি রক্ষা এবং উন্নত করা
  • মান, পেশাদারিত্ব এবং সর্বোচ্চ গুণগত মান অটুট রেখে সকল কাজ সম্পন্ন করা
  • কোম্পানির নীতি, নিয়ম এবং প্রবিধান মেনে চলা
  • সর্বদা কোম্পানির একজন অ্যাম্বাসেডর এর মতো আচরণ করা

মার্কেটপ্লেস দায়িত্ব

  • গ্রাহক, সরবরাহকারী, বিক্রেতা, অংশীদার এবং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সাথে সকল ধরণের যোগাযোগ দায়িত্বের সাথে পালন করা
  • গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা, এবং নিরাপত্তা রক্ষা করা
  • কোম্পানির পণ্য এবং সেবা সম্পর্কে শুধুমাত্র বাস্তব এবং সত্য স্টেটমেন্ট দেওয়া
  • ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা সংগ্রহের ক্ষেত্রে নৈতিকতা নিশ্চিত করা
  • অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে কোম্পানির পরিষেবার ব্যবহার রোধ করা

কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব

  • সহকর্মীদের সাথে সম্মান এবং মর্যাদার সাথে আচরণ করা
  • ডাইভারসিটি এবং সকলের প্রতি সম্মান ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা
  • ভীতি ও হয়রানিমুক্ত, ইতিবাচক কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা
  • কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বিদের সাথে, বাইরের কোন পদে, ব্যবসার সুযোগ গ্রহণ না করা
  • সঠিক এবং সম্পূর্ণ আর্থিক রেকর্ড নিশ্চিত করুন
  • আর্থিক প্রতিবেদন এবং অপারেশনাল কার্যক্রমের উপর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা
  • কোম্পানির অ্যাসেট এবং প্রোপারটিস রক্ষা করা

কর্পোরেট সিটিজেনশীপ

  • সকল সম্প্রদায়কে সমর্থন করুন এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখুন
  • সাধারণ নিরাপত্তা এবং পরিবেশ রক্ষা করুন
  • জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকুন এবং সরকারকে সহযোগিতা করুন